করোনাভাইরাসের সময় দেখিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যে ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল।’ এবার কলকাতার বুকে পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়ে কনভেনশন করার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ, শনিবার অপরাজিতা বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় দুষলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেবাশ্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করে নামকরণের ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি। আমতলায় আজ ‘ডক্টরস কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের সুরক্ষায় চালু করলেন বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ আমতলার সমন্বয় অডিটোরিয়ামে চিকিৎসকদের সঙ্গে ‘সমন্বয়’ বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই উপস্থিত হন হাজারের বেশি চিকিৎসক। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বেড়েছিল। আর আজ সেই দুর্বলতাকেই শক্তিতে বদলে ফেললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সেবাশ্রয় নাম দিয়েছি। কারণ সেবা ও আশ্রয়। জীবসেবা শিব সেবা স্বামীজী বলেছিলেন। আজকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটা গোটা দেশকে আগামী দিনে পথ দেখাবে।’
আরও পড়ুন: ‘পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়ে কলকাতায় কনভেনশন করব’, ডক্টরস সামিটে ঘোষণা অভিষেকের
এই সভা থেকে নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য পৃথক কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সেবাশ্রয়’। ২০২৫ থেকে ডায়মন্ড হারবারের সাত বিধানসভায় চিকিৎসা শিবির চলবে। প্রত্যেকটি বিধানসভায় ১০ দিন ধরে স্বাস্থ্য শিবির হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষে অভিষেকের বক্তব্য, ‘সামাজিক এই অপরাধকে সরাতে হলে একমাত্র উপায় আইন। রাজ্য সরকার বিল পাশ করিয়েছে। কিন্তু দু’মাস ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে তার উচ্চবাচ্য নেই। ধর্ষণ ছাড়াও, অ্যাসিড আক্রান্তদের জন্যও কড়া বিধান রাখা আছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে এটা আইনে পরিণত করতেই পারে।’
এছাড়া আজ, শনিবার ১২০০ চিকিৎসককে নিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে মেগা সম্মেলন করলেন অভিষেক। এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সেবাশ্রয় কর্মসূচি শেষ হলে মার্চের মাঝখানে ১৫–১৬ তারিখ যদি শেষ হয়, আমরা পয়লা বৈশাখের আগে দরকার হলে ৫ হাজার ডাক্তারের কনভেনশন করব কলকাতার বুকে। কেন্দ্রীয় সরকার আইন আনুক। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা ভোট দেবে। কিন্তু আপনারা আইন আনতে পারবেন না। কারণ আপনাদের দলেই ওরা বেশি করে আছে। সিপিএম–বিজেপি–কংগ্রেস কেউ অ্যান্টি রেপ ল’ নিয়ে পথে নামবে না। নামলে সমর্থন করব আমি। কাল বিজেপি মিটিং ডেকে বলুক অ্যান্টি রেপ ল’ পাশ হবে। তৃণমূলের কেউ সমর্থন না করলে আমি একা করব।’