টিকাকরণে রোল মডেল অভিষেকের কেন্দ্র, একশো শতাংশ মানুষ পেলেন ভ্যাকসিন

শুধু রটিনমাফিক টিকাকরণই নয়, ওয়ার্ড ধরে গণনা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে এসেছেন প্রবীণ নাগরিকদেরও।

ডায়মন্ড হারবার মিউনিসিপালিটির ১০০ শতাংশ বাসিন্দাই প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে বাংলায় টিকাকরণের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। টিকা মিলছে না। কেন্দ্র দিলেও তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এবার এই সবকিছুর জবাব এল কাজের মধ্য দিয়ে। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার মিউনিসিপালিটির ১০০ শতাংশ বাসিন্দাই প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে গিয়েছেন ৯০ শতাংশ মানুষ। সুতরাং বিরোধী বিজেপির অভিযোগ যে সঠিক নয় তা প্রমাণ হয়ে গেল।

এদিকে সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে কাজ ডায়মন্ডহারবার মিউনিসিপালিটি করেছে তা গোটা বাংলার সাপেক্ষেই রেকর্ড। শুধু রটিনমাফিক টিকাকরণই নয়, ওয়ার্ড ধরে গণনা করে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে এসেছেন প্রবীণ নাগরিকদেরও। এই সাফল্যে এখন কার্যত জবাব দেওয়ার অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

টানা একমাস রোজ প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ করেছে এই মিউনিসিপালিটি। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরুময় গায়েন বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। আমরা এখানে ভ্যাকসিন অন হুইলস চালু করে দিয়েছি। টোটোয় করে আমাদের মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রবীণদের জন্য ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’‌

স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদার জানান, ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন দিয়েছি। জোরকদমে কাজ করছে ভ্যাকসিন অন হুইলস। এই প্রকল্পটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। আমরা এখানে সফলভাবে কাজ করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য এলাকা এই পথ ধরেই কাজ করবে।