নিজের লোকসভা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। হাজার হাজার মানুষ সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন। আর সাংসদ নিজে এসে সব খোঁজ নিচ্ছেন। বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে। হ্যাঁ, প্রকল্পটির নাম ‘সেবাশ্রয়’। আর তা চালু করেছে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার এসেছিলেন বিষ্ণুপুরে। এখানে এসে একরত্তি শিশু কৃতি মান্নার শারীরিক অবস্থা দেখে তার দায়িত্ব নিলেন। আর এখানেই ৯ বছরের বালক আলতাফ হোসেন ঘরামির চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থা করেন। তারপর সেখান থেকে একটি পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডেলে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক।
এদিকে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা হাল যে একেবারে তলানিতে সেটা তুলে ধরেন অভিষেক। আর তাই সঠিক পরিষেবা পেতে হলে সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়ছে বলে তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই সাধারণ মানুষের সেবায় নতুন মডেল ‘সেবাশ্রয়’। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সেবাশ্রয়’ পরিষেবার খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি এক্স হ্যান্ডেলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সে কথাও তুলে ধরেন তিনি। এখন লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে ফেলেছেন। যা আগামী দিনে রোল মডেল হতে চলেছে বলে মনে করেন অভিষেক।
আজ, শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে এসে সকল মানুষের সঙ্গে দেখা করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। শিশু, মহিলা, প্রবীণ নাগরিক সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামত নেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সঠিকভাবে সেটার খোঁজ নেন। আর তারপর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। গ্রামে–শহরে এই পরিষেবায় বিভাজন স্পষ্ট। অতিরিক্ত খরচ, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাব রয়েছে। কয়েক দশক ধরে এই সমস্যা চলছে।’ দেশের এই হাল তুলে ধরে কার্যত বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার কে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।
আরও পড়ুন: তোমার ফোন নম্বরটা দাও তো মামনি, অস্বীকার করলে ছাত্রীকে হেনস্থা, গ্রেফতার তিন
‘সেবাশ্রয়’ যে মানুষের কাছে গিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে তাতে এখানকার মানুষ অত্যন্ত খুশি। বিপুল পরিমাণ মানুষ এখানে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এখন আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনী পরিষেবার মাধ্যমে একটি যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। ‘সেবাশ্রয়’ হল এই পরিবর্তনের পথ একটি প্রয়াস। কেন্দ্রের এই অচল স্বাস্থ্য পরিষেবার মধ্যে একটি বাতিস্তম্ভ। তার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উপভোক্তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ২২ তারিখে, বিষ্ণুপুর: ৪৭টি স্বাস্থ্য ক্যাম্প ৮৫২৯ জনকে পরিষেবা দিয়েছে। ৬৭৩৭ রোগীর ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ৭৫১৫ জন রোগী বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছেন ২১টি গুরুতর ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে। ‘সেবাশ্রয়ের’ মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা রোগীর কাছে পৌঁছতে চাই।’