সামনেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। আর সেখানে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট হয়নি কংগ্রেসের। ফলে পৃথক লড়াই করছে এই দুটি দল। যার ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। এই বিজেপিকে হারানো যদি লক্ষ্য হয় তাহলে যে দল যেখানে শক্তিশালী সেই দলকে সেখানে সমর্থন করা উচিত। এই নীতির উপর ভর করেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়। তাহলে দিল্লির নির্বাচনে কেন আপকে সমর্থন করা হচ্ছে না? আজ, বুধবার ফলতা থেকে সেবাশ্রয় প্রকল্পের কাজে যোগ দিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান পদে রদবদল, পিবি সেলিম আউট মোশারফ হোসেন ইন
ইতিমধ্যেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকে নিঃশর্ত সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জবাব দিয়েছেন খোদ কেজরিওয়াল। এক্স হ্যান্ডেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই সমর্থন ও শুভেচ্ছার কথা লিখিত আকারে রয়েছে। আর আজ কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিরোধী দলগুলির মধ্যে একতা প্রয়োজন। তাই একতার উপর জোর দেওয়া উচিত। দলীয় কারণে বাদ দেওয়া উচিত ছোট স্বার্থ। প্রত্যেক দলেরই উচিত আপকে সমর্থন করা। যাতে বিজেপিকে পরাজিত করা যায়।’
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। এমনকী কংগ্রেস নেতারা প্রকাশ্যে আপের নানা নেতা–মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস–আপের ঐক্যে ফাটল ধরায় বিজেপির সুবিধা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি আপকে সমর্থন করছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘যখন ইন্ডিয়া জোট গড়ে ওঠে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আঞ্চলিক দল যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। যেমন ডিএমকে তামিলনাড়ুতে, জেএমএম ঝাড়খণ্ডে। সেক্ষেত্রে দিল্লিতে কে বিজেপিকে হারাতে পারে? সেটা আপ। তাহলে কেন আমি সেই দলকে সমর্থন করব না যে বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে?’
নাম না করে কংগ্রেস যে বিজেপিকে হারাতে পারবে না সেটা সুকৌশলে বুঝিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আপ–কংগ্রেস জোট না হওয়ায় বিজেপিকেই কার্যত সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর কথায়, ‘বিজেপিকে হারানোটাই একমাত্র কারণ হওয়া উচিত। সেখানে কেন আমরা বিজেপিকে সাহায্য করছি আপকে সমর্থন না করে? ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে প্রত্যেকের একটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আঞ্চলিক দলকে শক্তিশালী করা। প্রত্যেক রাজ্যে এটা হওয়া দরকার। একমাত্র একতা দিয়েই আমরা আমাদের দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারি।’