লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্দেশখালিকে সামনে রেখে অক্সিজেন নিতে চাইছে বিজেপি। এই তপ্ত আবহে সন্দেশখালিতে এখনও যাননি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং পরিবর্তে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন অভিষেক। এখানেই ১০ মার্চ আসার কথা ছিল অভিষেকের। সেই সূচি আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে বলেই খবর। কারণ ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ। রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে বারবার হাজির হয়েছেন। সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে রবিবার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আপনি কবে যাবেন সন্দেশখালিতে? অভিষেক সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এই উত্তর অভিষেক সোজাসুজি না দিলেও তিনি যে যাবেন সেটা নিশ্চিত করেছেন। আজ, রবিবার মহেশতলায় একটি উড়ালপুল এবং জলের প্রকল্পের উদ্বোধনে করেন অভিষেক। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভা হবে। তাই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সন্দেশখালিতে আপনারা একটা সভা করবেন বলেছিলেন। ব্রিগেডে তো একটা বড় সমাবেশ করছেন। সন্দেশখালির সভাটি কবে হচ্ছে? জবাবে অভিষেক বলেন, ‘আমি সন্দেশখালিতে যাব এবং সভা করব। সেই তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সভা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন লালু–অখিলেশ, কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট নিয়ে কথা
এদিকে সন্দেশখালিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে যাবেন সেটা নির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে কর্মসূচি চলার মধ্যেই সন্দেশখালি যাওয়ার তারিখ এবং সময় সঠিক সময়ে জানিয়ে দেবেন। এই বিষয়টি নিয়ে অভিষেকের কথায়, ‘আমরা ওখানে অকারণে গিয়ে প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে চাই না। ওটা বিজেপি ও সিপিএম করে।’ ইতিমধ্যেই খালিস্তানি মন্তব্যে তোলপাড় গোটা রাজ্য। শিখরা বিজেপি অফিস ঘেরাও করতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্য নিয়েই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই এই ব্রিগেড সমাবেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে শুভেন্দুর দাবি, ওই ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। তাঁর কণ্ঠস্বর নয় ওটা। পাল্টা অভিষেক আজ ভয়েস স্যাম্পেল পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। তাতেই ধরা পড়ে যাবেন শুভেন্দু বলে দাবি অভিষেকের। অভিষেকের কথায়, ‘সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতাদের যাওয়া আসা লেগেই রযেছে। সুকান্ত মজুমদার যেদিন যাবেন, তার পরের দিন যেতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে। আবার তার পর দিন যাবেন অগ্নিমিত্রা পাল, মানবাধিকার সংগঠন, মহিলা মোর্চা। আসলে নরেন্দ্র মোদী বলে দিয়েছেন নয়াদিল্লি থেকে, আমি ৮ তারিখ আসছি। ইস্যু যেন বেঁচে থাকে। ওরা ছুটছে ছুটুক। যেদিন সন্দেশখালিতে সভা হবে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ব্রিগেড সমাবেশ হয়ে গেলে আমি নিশ্চয়ই যাব।’