আজ পঞ্চমীর দিনে দুর্গাপুজোয় জনসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের নানা এলাকায় বস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে জনসংযোগ করেন তিনি। আজ সাতগাছিয়া এবং বিষ্ণুপুর এলাকায় বস্ত্র বিতরণ করে জনসাধারণকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান অভিষেক। এখান থেকেই তিনি সাধারণ মানুষকে বার্তা দেন রাজনৈতিক কথা বলে। যে কটা আবর্জনা পড়ে আছে তাঁদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে বাংলার শান্তি, উন্নয়ন অক্ষুণ্ণ রাখার ডাক দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের সাতগাছিয়ার বিদ্যানগর মাল্টিপারপাস স্কুলের মাঠে বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
এদিকে এখান থেকেই আবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও নরেন্দ্র মোদীর সরকার আমার মেরুদণ্ড কিনতে পারেনি। আমি আত্মসমর্পণ করিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বিচারব্যবস্থার একাংশকে কাজে লাগিয়ে আমাকে আক্রমণ করেছে সেটা বাংলার মানুষ দেখেছেন। কিন্তু আজও আমার মেরুদণ্ড সোজা। জীবন দিতে হলে বাংলার জন্য দেব, দেশের জন্য দেব। আত্মসমর্পণ বা মেরুদণ্ড বিক্রি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করবে না। আমার মেরুদণ্ড সোজা।’ সুতরাং ইডি–সিবিআই দিয়ে যে তাঁকে কিছু করা যাবে না সেটা স্পষ্ট করেন সাংসদ।
অন্যদিকে ২০০৯ সালের আগে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা বামেদের দখলে ছিল। ৭৭ সাল থেকে সাতগাছিয়া বিধানসভায় টানা ২৪ বছরের বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। ২০১৪ সালে অভিষেক জেতেন এখান থেকে। অতীতের এই কথা তুলে অভিষেক বলেন, ‘এলাকার রাস্তাঘাট দিয়ে মানুষ ঠিক করে চলতেও পারত না। ২০০৯ সালে প্রথম ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল কংগ্রেস জেতে। তারপর থেকেই এখানে উন্নয়ন শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে আমি জেতার পর প্রায় ৬০০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি এই ৯ বছরে। আপনারা কি চান, তৃণমূল গিয়ে বহিরাগত নেতাদের পায়ে পড়ুক? ইডি–সিবিআই যত লাগাবে, তৃণমূলের আন্দোলন ততই জোরদার হবে। ইডি–সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূলকে আটকানো যায়নি এবং যাবেও না। লড়াইয়ের শেষ দেখে আমরা ছাড়ব।’
আরও পড়ুন: পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই বন্ধ হয়ে গেল শ্রীভূমির লাইট শো, ডিজনিল্যান্ড নিয়ে হতাশ দর্শনার্থীরা
এরপরই তিনি গর্জে ওঠেন। অভিষেক জানান, আর এলাকার মানুষকে আগামী বছর থেকে দুর্গাপুজোর সময় বস্ত্র নিতে রাজনৈতিক মঞ্চে হাজির হতে হবে না। তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যেকের বাড়িতে নতুন বস্ত্র পৌঁছে দেবেন। অভিষেকের হুঙ্কার, ‘নিজের অধিকারকে সামনে রেখে লড়াই করতে হবে। যে আপনার বিপদে পাশে ছিল, আপনাকেও তার সঙ্গে থাকতে হবে। ভোটের সময় যাঁরা ভোট পাখি হয়ে ভোট চায়, আর আড়াই বছর টিকিও দেখা যায় না, তাঁদেরকে প্রত্যাখ্য়ান করুন। যে কটা আবর্জনা পড়ে রয়েছে তাঁদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে বাংলার শান্তি উন্নয়নকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।’ এখানে আবর্জনা বলতে বিরোধীদের বোঝাতে চেয়েছেন।