শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে শ্রমিকদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্কের কথা বলে ঠিকাদারদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আর তিন মাসের মধ্যে হলদিয়ায় ঠিকাদার থাকবে না বলেও কথা দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। শনিবার হলদিয়ার রানীচকে সংহতি ময়দানে জনসভায় যোগ দিয়ে নাম না করে শ্রমিকদের সর্বনাশ করেছে শুভেন্দু বলে তোপ দাগেন অভিষেক।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? শনিবার বারবেলায় শ্রমিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, ‘আজ থেকে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হল সবার সঙ্গে। কিন্তু অনেক অনুগামী আছে দলের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করেছিল তারা। এই সভাতেও আছে। তাদের চিহ্নিত করেছি। মেদিনীপুরকে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে। ইডি, সিবিআই–এর ভয়ে পালিয়েছেন। আপনাদের সবার বক্তব্য আমার কাছে আছে। আমরা দরজা খুললে ওদের দল উঠে যাবে। ১১ বছর অপেক্ষা করেছেন। আমি তিন মাস সময় চাইছি। একটা ঠিকাদার থাকবে না। হয় ঠিকাদারি করুন নয় তৃণমূল, দুটো এক সঙ্গে করতে হবে না। কোনও দাদার প্রতিনিধি নয়, নেত্রীর প্রতিনিধি হতে হবে। শ্রমিক সংগঠন করলে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে হবে।’
শ্রমিকদের স্বার্থে কী বললেন অভিষেক? এদিন শ্রমিকদের নিজের ভাই বলে পরিচয় দেন। তারপর সুর চড়িয়ে বলেন, ‘১২ ঘণ্টার কাজ করিয়ে আট ঘণ্টার বেতন দেওয়া চলবে না। হলে মামলা হবে। আর তাকে শ্রীঘরে পাঠাব। আগামিকাল থেকে কাজে নামুন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামুন। নিজেকে জেলার সর্বেসর্বা ভাবেন। একটা লোক আপনাদের বারোটা বাজিয়েছে ১১ বছর। তৃণমূলে থেকে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। আমিই বলেছি। অনুগামী এক্সচেঞ্জ খুলে বসেছিল কেউ কেউ। কর্মসংস্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
এরপরই শ্রমিকদের চার্টার্ড অফ ডিমান্ড করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমাকে তিন মাস, খুব বেশি হলে একশো দিন সময় দিতে হবে। এই সমস্যা মিটিয়ে দেব। এবার থেকে চার্টার্ড অফ ডিমান্ডের ক্ষেত্রে কোনও ঠিকাদার প্রতিনিধি থাকবে না। শ্রমিকদের প্রতিনিধি থাকবে। জেলাশাসকের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি হবে। আর শ্রমিক ২০ শতাংশ প্রতিনিধি সেখানে থেকে সোচ্চার হবেন। যাতে চার্টার্ড অফ ডিমান্ডে শ্রমিকদের দাবি প্রতিফলিত হয়।’