শুভেন্দু অধিকারী প্রায়ই বিভিন্ন সভা–সমাবেশ থেকে বলে থাকেন তিনি রাজনীতিতে অকৃতদার। আজ, শনিবার তাঁর খাসতালুক হলদিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সমাবেশে যোগ দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে তুলোধনা করলেন। নাম না করে শুভেন্দুকে ‘অকৃতজ্ঞ’, ‘গদ্দার’ বলে চিহ্নিত করেন।
ঠিক কী বলেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ? আর দলীয় কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘দাদার অনুগামী হওয়া চলবে না। ১১ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধরে একজন দলের সর্বনাশ করেছে। আর সেটা হতে দেব না। ১১ বছর ধরে একটা লোক সব শেষ করে দিয়েছে। মানুষের টাকা নিয়ে নিয়েছে। নিজে কোটি কোটি টাকা করেছে। টিভির পর্দাতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আর কথায় কথায় বলে—আমি অকৃতদার। আরে আপনি অকৃতদার নন, অকৃতজ্ঞ। আমরা বিভীষণদের চিনে নিয়েছি। যার নেতৃত্বে উত্তর কলকাতায় গুণ্ডামি করে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হল, এই জেলার একসময়ের সর্বেসর্বা তাঁর পদলেহন করে চললে দরজা খোলা আছে। নিজেকে ইডি–সিবিআই থেকে বাঁচাতে দলবদল করল। দিল্লির বুকে মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করল।’
ইডি–সিবিআই নিয়ে কী বললেন? এদিন ইডি–সিবিআই নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমাকে দু’বার দিল্লিতে ইডি–সিবিআই তলব করল। আমার পিছনে লেলিয়ে দিল। আমি গেলাম, মুখোমুখি হলাম। মাথা নত করতে হল। আর তারপরই ওদের দলের দুই সাংসদকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করে দলে যোগ দেওয়ালাম। আমরা দরজা খুললে ওই দলটা উঠে যাবে। আমার কাঁচকলা করবে।’
এরপরই অভিষেকের বক্তব্য চলাকালীনই শুভেন্দু বিরোধী স্লোগান উঠতে শুরু করে। তখন অভিষেক সকলকে শান্ত রাখার আবেদন জানান। আর বলেন, ‘এটা আমাদের কালচার নয়, ছেড়ে দিন।’ যদিও তাঁর আবেদনে কর্ণপাত না করে স্লোগান চলতেই থাকে। একজন কিছু বলতে চাইছিলেন। তাঁকে আলাদা ঘরে বসাতে বললেন। সভা শেষে কথা বলে নেবেন।