সেবাশ্রয় কর্মসূচি এখন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে কথা বললেই সেটা টের পাওয়া যায়। ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের বাসিন্দাদের এখানে চিকিৎসা মিলছে বিনামূল্যে। এমনকী জটিল কোনও বিষয় হলে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে পর্যন্ত চিকিৎসা করানো হচ্ছে। এবার সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবিরে আসা দুই শিশুর বিরল রোগ ধরা পড়ল। আর তা সারাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই এই দুই শিশুর চিকিৎসার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, এক বৃদ্ধারও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পাঠালেন তিনি। এই সেবাশ্রয় প্রকল্প নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এখানে জটিল অসুখ নিয়ে আসা দুই শিশুকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে এখন বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসার স্বার্থে এটা করলেন স্থানীয় সাংসদ। যা দেখে অভিভূত শিশুদের পরিবারের সদস্যরা। আলমিসা খাতুন নামে শিশুটির শরীরে সঠিক পথে অক্সিজেন পৌঁছয় না। জন্মগত এই বিরল সমস্যায় ভুগছে ওই শিশুটি। সেবাশ্রয় চিকিৎসাকেন্দ্রে আলমিসাকে নিয়ে আসেন তার বাবা–মা। চিকিৎসকরা সেখানে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে ওই জটিল রোগ ধরে ফেলেন। এরপরই আসে নেহা মাঝি নামে আর এক শিশুর জটিল সমস্যা। সে নার্ভের জটিল রোগে আক্রান্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে বা হাঁটাচলা করতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘উত্তর বিধানসভাতেই দিতে হবে’, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে সরাসরি নির্দেশ দিলেন স্পিকার
এই দুই শিশুকে নিয়ে তখন ভাবনা–চিন্তা শুরু করেন চিকিৎসকরা। গোটা বিষয়টি জানানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেবাশ্রয় কেন্দ্রে নেহাকে নিয়ে এসে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা শুরু হয় নেহার পরিবারের সদস্যদের। আলমিসা এবং নেহার উন্নতমানের চিকিৎসার প্রয়োজন। আর তার জন্য কলকাতার বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে দুই শিশুর পরিবার এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। অভিষেকের কাছে এই খবর পৌঁছতেই তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আলমিসা এবং নেহাকে বেঙ্গালুরু পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এখানেই শেষ নয়, আলমিসা এবং নেহার সঙ্গে গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী একজন চিকিৎসককেও পাঠানো হয়েছে যাতে দুই শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আর তাদের যাবতীয় তদারকি করছেন সাংসদ। একইসঙ্গে এই সেবাশ্রয় ক্যাম্পে এসে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৯২ বছরের রিজিয়া বেওয়া। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বৃদ্ধাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেবাশ্রয়ে এসে নতুন জীবন পেলেন ওই বৃদ্ধা! স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পড়েন বোরহানপুরের বৃদ্ধা রিজিয়া বেওয়া। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে এসে চিকিৎসা করিয়ে আবার অ্যাম্বুলেন্সে করেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। বৃদ্ধার নতুন জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তাঁর ছেলে।