বৃহস্পতিবার নদিয়া জেলায় আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার কর্মসূচির পাশাপাশি আরও কিছু কাজ রেখেছেন তিনি এই জেলায়। যা অনেকে ভাবতেও পারেননি। এই কর্মসূচি সফল করতে ঝাঁপাচ্ছে দলের সমস্ত শাখা সংগঠনের সদস্যরা। অভিষেক কোন রুট দিয়ে রোড–শো করে অধিবেশনে পৌঁছবেন সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি শুধু নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে এখানে আসছেন না। নেপথ্যে আছে অন্য কর্মসূচিও।
ঠিক কী সেই কর্মসূচি? তাঁর একাধিক কর্মসূচির মধ্যে এবার নতুন একটি বিষয় সংযুক্ত হয়েছে। সেটি হল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাহানাগার ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে জেলা কমিটির মিটিং হয়েছে। তারপর মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে যান সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কর্মসূচির দিন রোড–শোর শেষে কালীগঞ্জের পানিঘাটা ইউডিএম হাইস্কুলের ময়দানে মূল অধিবেশন হবে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এই জেলায় যাঁরা আহত এবং নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের কাছে যাবেন স্বয়ং অভিষেক। দলের তরফ থেকে সাহায্যও তুলে দিতে পারেন।
আর কী করবেন তিনি? পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের সংগঠন কতটা মজবুত সেটাই দেখে নেবেন তিনি। জনসংযোগের পাশাপাশি মানুষের অভাব–অভিযোগ শুনবেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভার নৃসিংহদেব মন্দিরের পুজো দেবেন অভিষেক। এখানের তাঁতশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঘূর্ণির মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ধুবুলিয়া থেকে রোড–শো শুরু করবেন। আবার ধুবুলিয়ার রিফিউজি ক্যাম্পে বেশ কয়েকজনকে জমির পাট্টা তুলে দেবেন। তারপর নাকাশিপাড়া থেকে জিসিএম প্রাইমারি স্কুল থেকে বেথুয়া মার্কেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা রোড–শো করা হবে। তেহট্ট–২ ব্লকের পলাশিপাড়া থানার সুরেন্দ্রনাথ কৃষক সমবায় সমিতি থেকে পেট্রল পাম্প পর্যন্ত রোড–শো হবে। সেখানে চাষিদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ পৌঁছে মীরা বাজার এলাকায় ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। তারপর কালীগঞ্জের পানিঘাটার ইউডিএম হাইস্কুলের মাঠে অধিবেশন শুরু হবে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই কর্মসূচি নিয়ে জেলাজুড়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি–পর্ব চলছে। এই বিষয়ে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অভিষেকবাবুকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। আয়োজনে কোনও খামতি নেই। একাধিক কর্মসূচির পাশাপাশি তিনি ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।’ আর ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম কালীগঞ্জের দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘ভয়ঙ্কর রাতের কথা ভুলতে পারব না। আমার পা ভেঙে গিয়েছে। মিস্ত্রির কাজ করি। আগামী দিনে কাজ করতে পারব কিনা জানি না। অভিষেকবাবুর সঙ্গে দেখা হলে জানাব।’