পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। সেটাকে পাখির চোখ করেই ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে সোমবার পাহাড়ে পা রাখলেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে যান উত্তরকন্যায়। সেখানে টানা চার ঘণ্টা তিনি দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছিলেন মন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি কুন্তল রায়–সহ অনেকে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরকন্যায় এদিনের বৈঠকে অভিষেক তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ–সুবিধা থেকে একজনও বঞ্চিত না হয়। এ ব্যাপারে সকলকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিনে বৈঠকে ছিলেন দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতারা। তাঁদের অভিষেক বলেছেন যে পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দিতে হবে সরকারি কর্মসূচির সুবিধা। সরকারি কর্মীরা তা যদি করতে না পারে তবে তা দায়িত্ব নিয়ে দলের কর্মীদেরই করতে হবে। অভিষেক এদিন পরিষ্কার জানিয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারে দলের হাতিয়ার হবে শুধু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।
সোমবার থেকে চারদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে রয়েছে অভিষেকের একগুচ্ছ কর্মসূচি। মঙ্গলবার যাবেন আলিপুরদুয়ারে। রয়েছে একটি দলীয় অনুষ্ঠান ও একটি বৈঠক। বুধবার জলপাইগুড়িতে যাওয়ার কথা অভিষেকের। সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন তিনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরে যাবেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম মাঠে তাঁর জনসভা রয়েছে। ৮ জানুয়ারি, শুক্রবার ফের শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় সাংগঠনিক বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরবেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে বাংলা সফরে এসে উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। কোচবিহারে জনসভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার সেই রেশ ধরে রেখে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।