রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আজ জানিয়েছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তবে তাঁকে ফিরতে হলে কান ধরে ওঠবস করে ফিরতে হবে বলে নিদান দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ প্রাযশ্চিত্তের কথা তিনি আগেও বলেছিলেন। এবার সেটা বিরোধী দলনেতার জন্যও ঠিক করে দিলেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও নন্দীগ্রামের বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এদিকে কয়েকদিন আগে বালুরঘাটের তপনে দণ্ডি কেটে তিন আদিবাসী মহিলা বিজেপি থেকে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এটা নিয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়ে নালিশ ঠোকেন। তখন বিষয়টি নিয়ে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার দাবি করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের গাইডলাইনেই রয়েছে, কেউ দল ছেড়ে আবার যোগ দিতে চাইলে তাঁকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করতেই হয়। অপরূপার এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এবার সেই দগদগে রেশ থাকতেই নয়া নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
কবে তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু? অন্যদিকে এই বিষয়ে অপরূপা পোদ্দার জানান, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁকে দণ্ডি নয়, কান ধরে ওঠবস করতে হবে। আজ, বৃহস্পতিবার অপরূপা পোদ্দার বলেন, ‘সিবিআই–ইডি থেকে বাঁচতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যা ফল করবে তাতে বিজেপি হারবে এবং বিজেপির মন ভেঙে যাবে। তখন তিনি দলে ফিরবেন। তাঁকে নেওয়া হবে কি না, সেটা দলের ব্যাপার। তবে যদি শুভেন্দু অধিকারী দলে ঢোকেন তা হলে আমার ব্যক্তিগত মত হল, দণ্ডি কেটে নয়, কান ধরে ওঠবস করে যেন দলে ঢোকেন।’
ঠিক কী বলছে বিজেপি? আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মন্তব্য নিয়ে খুব রেগে গিয়েছে বিজেপি। তাই বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেস দলটা থাকবে কি না সেটা ওঁকে আগে চিন্তা করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে যাবেন কি না সেটা পরের ব্যাপার। তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা এখন চলে গিয়েছে। ওদের পালক খসে পড়েছে। এবার ডানাও খসে পড়বে। আসলে উনি ভেসে থাকতে চাইছেন।’