শুভেন্দু সংকটের মধ্যেই সম্প্রতি দলে আরও গুরুত্ব বেড়েছে তাঁর। সুর চড়িয়ে বার বার শুভেন্দুকে চাঁচাঁছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। তাঁর বিরুদ্ধে রীতিমতো ফৌজদারি ধারায় অভিযোগ দায়েরের দাবি তুলেছেন। সেই কল্যাণ এবার জবাব পেলেন দলের ভিতর থেকেই। কল্যাণের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যেই তাঁর সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তাঁর দাবি, ‘কল্যাণ যা করছেন তাতে সুবিধা পাচ্ছে বিজেপি।’
হুগলির শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণবাবু। ওই জেলারই আরেক প্রান্ত আরামবাগে গত লোকসভা ভোটে হারতে হারতে জিতেছিলেন তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার (আফরিন আলি)। সম্প্রতি নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একাধিক সভায় দলবদলকারী তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করতে গিয়ে সারদা – নারদা প্রসঙ্গ তোলেন কল্যাণবাবু। বলেন, ‘যারা সারদা – নারদায় অভিযুক্ত তারা নিজেদের সিবিআই থেকে বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। এরা আগে থেকেই কথা দিয়ে রেখেছিলেন। ভোটের আগে দলবদলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পয়েছেন।’
নারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত অপরূপা পোদ্দার নিজেও। কল্যাণবাবুর এহেন বক্তব্য শক্তিশেলের মতো বিঁধেছে তাঁর বুকে। সোমবার দলীয় সাংসদের বক্তব্যে প্রকাশ্যে আপত্তি জানান তিনি। বলেন, ‘কল্যাণবাবু একজন সিনিয়র মানুষ। উনি কেন এসব কথা বলেন জানি না। এতে বিজেপিরই সুবিধা হবে। নারদায় কে অভিযুক্ত তা আদালত ঠিক করবে। এই নিয়ে অযাচিত মন্তব্য অনুচিত’।
তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলার আরেক সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদ বলেন, কল্যাণবাবুও তো তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। নারদা – সারদায় সিবিআই তদন্ত করছে। কে দোষী, কে নির্দোষ আদালত ঠিক করবে। তবে তৃণমূলে যারা মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাঁরা বিজেপিতে স্বাগত।’