তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হারিয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে। যা দেখেছেন বাংলার মানুষ। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা এখন সাংসদ হয়েছেন। আগে বিধায়ক ছিলেন তিনি। এই সাংসদ একশো জনকে বিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চলেছেন নয়াদিল্লিতে। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন, তাঁরা যেন তাঁর সাংসদ পদে শপথগ্রহণের সাক্ষী থাকতে পারেন। এমনকী যেদিন যাবেন সেদিন ওই একশো জনকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হোটেলেও রাখবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। আসলে একপ্রকার কৃতজ্ঞতা থেকেই এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাঁকুড়ার সাংসদ।
এবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে হারিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তারপর হন সাংসদ। সদ্য বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এটা বিরল ঘটনা হিসাবেই দেখছেন বাংলার মানুষজন। তবে বাঁকুড়া আসনে জয়ী প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী আজ, রবিবাসরীয় বিকেলে অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে একশো জন কর্মীকে নিয়ে যাচ্ছেন নয়াদিল্লিতে। আগামীকাল, সোমবার লোকসভায় অরূপবাবু সাংসদ হিসাবে শপথ নেবেন। অরূপবাবুর ইচ্ছা কর্মীরা যেন এই শপথ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে পারেন। আর তার জন্যই তো এমন কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অ্যাক্রোপলিস মলে থাকা অফিসগুলি খুলবে কবে? জানিয়ে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
এই একশো জন নয়াদিল্লি পৌঁছলেও সংসদের ভিজিটারস গ্যালারিতে জায়গা পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ সংসদে যে গ্যাস বিস্ফোরণের কাণ্ড ঘটেছিল তার পর থেকে কড়াকড়ি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এতজন ভিজিটারস গ্যালারিতে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তবে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘হ্যাঁ আমি যাচ্ছি নয়াদিল্লিতে। আর আমার কর্মীরাই তো সব। এত ভোটে কর্মীরা আমাকে জিতিয়েছেন। তাই আমি যখন বিমানে যাব তখন কর্মীরা কি ট্রেনে যাবেন? সবাই বিমানে করে যাব। অন্ডাল থেকে বিকেল ৪টের ফ্লাইট।’
তবে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের একটা বিষয় রয়েছে। এখানে দীর্ঘদিন ধরে জিততেন সিপিএম নেতা বাসুদেব আচারিয়া। তারপর তাঁকে সরিয়ে এই আসনটি জিতে নেন মুনমুন সেন। এরপর এখানে মুনমুনকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তখন এই আসনটি জিততে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই বাঁকুড়া আসনটি জিতে নেন সুভাষ সরকার। এবার তিনি হেরে গেলেন। জিতলেন অরূপ চক্রবর্তী। তারপরই একশো জনকে নিয়ে নয়াদিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।