রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বনগাঁর স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে দিদির দূত তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তখনই রাস্তা সংস্কারের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। আর তখনই রাস্তা সংস্কার করতে গেলে তাঁদের কি করতে হবে সেটা বলে দেন। যা নিয়ে এখন বিতর্ক চরমে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন সাংসদ? আজ, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চৌবেড়িয়া–২ পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ হিসাবে যান বারাসতের সাংসদ। সেখানে রাস্তা সংস্কারের দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের সদস্য বিজেপি জানতে পেরে কাকলি ঘোষদস্তিদার হাসতে হাসতে বলেন, ‘পরেরবার আমাকে ভোট দিন তার পর হবে। আগে ভোট দিন, পরে রাস্তা হবে।’ সাংসদের এই মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হতেই কাকলির সাফাই, ‘আমি মজাচ্ছলেই এই কথা বলেছি। রাস্তা তো হবে।’ কিন্তু বিতর্ক এখনও থামেনি।
তারপর কী ঘটল সেখানে? এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। সংস্কারের দাবিতে সরব হন স্থানীয়রা। তখনই ‘ভোট দিলে রাস্তা হবে। পরেরবার ভোট দিক, তারপর করব’ বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। এই নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয় তখন সাবিত্রী দাস নামে এক মহিলা বলেন, ‘সবাই কি বিজেপি নাকি? সবাই তো বিজেপির না। তৃণমূল কংগ্রেসের তো আছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের। তাহলে আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেব না? এমন হলে আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেব না। তারপর দেখি পঞ্চায়েতে কী দাঁড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস।’
মহিলার কথা শুনে কী বললেন সাংসদ? সাবিত্রী দাস নামে ওই মহিলার হুঙ্কার শোনার পর সাংসদ বলেন, ‘তা হলে কিছুই পাবেন না। চাল পাবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না। কন্যাশ্রী পাবেন না। স্বাস্থ্যসাথী পাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কিছুই পাবেন না।’ যদিও পরে তিনি বলেন, ‘মজা করছিলাম। রাস্তার জন্য লিখে নেওয়া হয়েছে। রাস্তা হবে।’ আর সাংসদ চলে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে সাবিত্রী দাস বলেন, ‘রাস্তার বিশেষ দরকার বলে জানিয়েছি। উনি বলেছেন ভোট দিলে, আছেন। আমাদের ভোট দিতে হবে। আমি ভোট দেব।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup