জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি করলেন। আবার স্টাইপেন্ডও নিলেন। সই করলেন হাজিরা খাতায়। এগুলি কেমন করে সম্ভব? আজ, রবিবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর থেকে চলে লাগাতার কর্মবিরতি। তারপর একটা বড় অংশই কাজে যোগ দেন। আবার গতকাল, শনিবার থেকে বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন। এবার তা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
যখন জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি করলেন অর্থাৎ কাজ করলেন না তখন স্টাইপেন্ড নিলেন কোন যুক্তিতে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হুগলি জেলার কোন্নগর নবগ্রামে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ডাক্তারবাবুরা কাজে যোগ দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল ৫৯ দিন ধরে কর্মবিরতি করলেন। আবার ৩২ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড নিলেন। এটা কি করে করলেন? কাজ করলেন না অথচ হাজিরা খাতায় সই করলেন! এটা ফ্রড তঞ্চকতা।’ জুনিয়র ডাক্তাররা আবার অনশন শুরু করেছেন। তাতে দুর্গাপুজোর সময় শহরে যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘স্বামী–প্রেমিক দু’জনের সঙ্গেই থাকতে চাই’, গৃহবধূর আবদারে চাপে ভূপতিনগর থানার পুলিশ
এবারও নানা দাবি তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবারের অনশনের নেপথ্য কারণ হল সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর পরিবারের হাতে জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহ। সেটাকেই এখন বড় আকার দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বিপ্লবের নামে বাংলার মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা আবার কী ধরনের কর্মবিরতি! কাজও করব না, আবার স্টাইপেন্ডও নেব। এটা ফ্রড। মানুষ জানুক একথা। অনেক কথা বলেছেন আপনারা ক্রাইম সিনের ব্যাপারে। আপনারা জানেন যখন আপনারা তখন সিবিআইকে গিয়ে বলবেন।’
কাজে যোগ দেওয়ার পরও এখন জুনিয়র ডাক্তারদের অনেক দাবি আছে। বহু দাবি ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার পূরণ করে দিয়েছেন। আবার নতুন করে দাবি উঠেছে। সেসব দাবি পূরণ যাতে হয় তার জন্যই তাঁরা এবার অনশনে বসেছেন। শনিবার বিকেলে রাজ্য সরকারকে দেওয়া তাঁদের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরেই তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সিবিআই কি সত্যি সত্যি তদন্ত করছে নাকি একপেশে তদন্ত করছে। যদিও এদের সিসিটিভিতে দেখা যায়নি। কিন্তু এরাই তো ছিল। কারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেমিনার হলের? উত্তর চাই। অন্তত সিবিআই উত্তরটা খুঁজে বের করুন। আমরা দলের প্রতি কমিটেড। কিন্তু আপনারা মানুষের কাছে কমিটেড। সেই কমিটমেন্টটা মানুষের কাছ রাখলেন কোথায়?’