যে কোনও দিন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হযে যেতে পারে। তাই সব রাজনৈতিক দলই রাস্তায় নেমে প্রচার করতে শুরু করেছেন। শাসক থেকে বিরোধী সব দলের নেতারাই তীব্র আক্রমণ করছেন পরস্পরকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ হাওড়া থেকে তোপ দেগেছেন।
গতকাল, শনিবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া জগৎবল্লভপুরের খাড়া পাড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আর সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন। তাঁর কথায়, ‘গত চার বছরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গের জন্য কিছু করেনি। অথচ ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পশ্চিমবঙ্গের জন্য একাধিক প্রকল্পের কাজ করেছেন।’ এখন অনেক প্রকল্পই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে যা আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন। অথচ সেইসব অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হয় না বলে অভিযোগ।
বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে কী বললেন? এদিন কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘বিরোধী দলনেতার কাজ হল দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ করা। আমরা যখন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পাওনা টাকার দাবি জানাচ্ছি তখন বিজেপির নেতারা উল্টো কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্র যেন টাকা না দেয়। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন যাতে বন্ধ থাকে। টাকা দিলে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হবে। উন্নয়ন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম হবে। তাই টাকা দিতে হবে না। তাই কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা, সড়ক যোজনার টাকা–সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। ওদের একমাত্র কাজ তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুৎসা করা।’
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়ে পড়েছেন। জেলার জনসভা থেকে টাকা আটকে রাখার বিষয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বঞ্চনার কথা বারবার তুলে ধরেছেন। এমনকী ধরনায় পর্যন্ত বসেছেন। এবার এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপির পাশাপাশি আক্রমণ শানান সিপিএম–কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএমের কোনও গঠনমূলক কাজ নেই। এদের একটাও ভাল কাজ দেখাতে পারবেন না।’ বাংলায় এখন বাম–কংগ্রেস জোট করে চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এদিন খাড়াপাড়া সেতু, জল প্রকল্প এবং জগৎবল্লভপুর গ্রামীন হাসপাতালের নতুনভাবে তৈরি দাঁত এবং চোখের ইউনিটের উদ্বোধন করেন।