রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে আসতেই তাঁকে কোরাপ্ট লোক বলেছিলেন তিনি। কেন দলে নেওয়া হল? এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে রাজীব বলেছিলেন, এটা আমাদের দাদা ভাইয়ের ব্যাপার। কিন্তু তার পরও টিপ্পনী কমেনি। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি এবার রাজীবের উদ্দেশ্যে গান ধরেছেন, ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা… এপার ওপার কোন–পার জানি না… বুঝতে পেরেছেন… মানে কখন তৃণমূল কংগ্রেসে, কখন বিজেপি বুঝতে পারছি না…’। একইসঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি মুখ্য সুখ্যু মানুষ বাবু কিছুই বুঝি না’। কালী পুজোর উদ্বোধনে এসে এভাবেই গান গেয়ে রাজীবকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসে রাজীব বলেছিলেন, আমি অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি। অভিমান ও জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। তাই কল্যাণবাবু গান ধরেন, ‘আমি সব পারেতেই আছি গাঙের জলে ভাসিয়ে দিয়ে ডিঙা… আমি দুই নদীতেই নাচি…মানে তৃণমূল কংগ্রেসে নাচছে, বিজেপিতেও নাচছে।… একবার চলে যাব মা বলে, একবার চলে যাব মোদীর কাছে। দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা–যমুনা। মমতাদি এক কোণে মোদীজি আরেক কোণে।’ সাংসদের এই গান শুনে করতালিতে ফেটে পড়ে এলাকা।
এখন প্রশ্ন, তিনি কী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করেই এই গান গাইলেন? উত্তরে সাংবাদিকদের কল্যাণ বলেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আরও অনেকে আছে। দেখতে থাকুন, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা ফিরে আসবেন।’
এদিন শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু রাগ করিস না ভাই। অনেক কথা বলে ফেলেছি। কখন কোনওদিন তুইও চলে আসবি, তার তো কোন ঠিক নেই। যাদের যাদের সমালোচনা করেছিলাম, তাদের সবাইকে বলছি কেউ রাগ করিস না। তখন তোরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলি তাই বলেছিলাম।’