নির্মলা সীতারমণকে ‘কালনাগিনী’ বললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

রবিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণবাবু।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

বলতে বলতে ফের ভাষায় লাগাম হারালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ‘কালনাগিনী’ কটাক্ষ করলেন তিনি। দেশের মহিলা অর্থমন্ত্রীকে এমন কুরুচিকর আক্রমণের সমালোচনায় সরব হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। ওদিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ‘কালনাগিনী’-কে ‘কালি নাগিন’-এর সঙ্গে ঘেঁটে ফেলেছে বিজেপি। 

রবিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণবাবু। বলেন, ‘কালনাগিনীর কামড়ে যেমন মানুষের মৃত্যু হয়, ঠিক তেমন নির্মলা সীতারমণের জন্য মানুষ মরছে। দেশের অর্থনীতিটাকে শেষ করে দিয়েছে। অবিলম্বে এর দায় নিয়ে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’

একই সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম উল্লেখ করে তৃণমূল কর্মীদের তাতানোর চেষ্টা করেন তিনি। বলেন, ‘সিপিএমের লাল সন্ত্রাস তৃণমূলকর্মীরা উপড়ে ফেলেছেন। এবার বিজেপির দিলীপ ঘোষ লাল চোখ দেখাচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের লাল চোখ হলুদ করার হিম্মত থাকলে তবেই তৃণমূল করুন।’

নির্মলা সীতারমণকে নিয়ে কল্যাণের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকে অবশ্য কল্যাণের মুখে অপ্রত্যাশিত কিছুই নয় বলে মন্তব্য করছেন। এরই মধ্যে মুখ খুলেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। সংবাদসংস্থাকে কল্যাণের মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। আর তাতে তিনি ‘কালনাগিনী’-কে ‘কালি নাগিন’ সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। সেই ‘কালী নাগিন’-কে আবার গুলিয়েছেন কালী ঠাকুরের সঙ্গে। 

সম্বিত বলেন, ‘কল্যাণের মন্তব্যের নিন্দা করি। তিনি যে রাজ্যে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন সেখানে প্রত্যেক বাড়িতে কালী ঠাকুরের পুজো হয়। এই মন্তব্য যেমন বর্ণবিদ্বেষমূলক তেমনই নারীবিদ্বেষী।’