নাগাড়ে বৃষ্টিতে অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকেছে। আবার গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় জেলায় এই সমস্যা দেখা গেলেও তা কিন্তু শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকল না। খোদ দুঁদে আইনজীবীর বাড়িতে তার প্রভাব পড়ল। তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। হ্যাঁ, তিনি শ্রীরামপুরের বাসিন্দা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানের ধোবি ঘাটের পাশে একটি আবাসনের পাঁচিল গঙ্গার গ্রাসে চলে গিয়েছে। গঙ্গা দর্শন নামে এই আবাসনে ফ্ল্যাট এবং অফিস রয়েছে সাংসদের।
রবিবার রাতের নাগাড়ে বৃষ্টিতে গোটা হুগলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তার সঙ্গে শ্রীরামপুরের গঙ্গার একের পর এক পার ভাঙতে শুরু করেছে। এদিন আবাসনের পাঁচিলের একাংশ আচমকা খসে পড়ে। আর তা গঙ্গায় তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। একদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি মাটি আলগা করে দিচ্ছে। অন্যদিকে গঙ্গার জোয়ার ভাঁটার ফলে ধ্বস নামছে। সবমিলিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
হাওড়া–হুগলি সর্বত্র জল জমে থাকার ছবি স্পষ্ট। জল–যন্ত্রণায় মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। তার উপরে ভাঙন বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে হাওড়া–হুগলির বুকে একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও জল নামেনি। আজ আবার বৃষ্টি হলে তা ভয়াবহ আকার নেবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।
রূপনারায়ণের জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে হুগলির খানাকুলের একাধিক গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বাঁধ মেরামতি এবং ত্রাণ বিলি নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টিতে জেরবার অবস্থা। নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে আবার সেখানে বিপর্যয়। রূপনারায়ণের জল ঢুকছে হুগলির খানাকুল দুনম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে। ডুবেছে ঘরবাড়ি থেকে চাষের জমি।