বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > সৌগতের ফোনের পর কেটে গেল ‘মনখারাপ’, প্রসূনের 'বিদ্রোহ'-এ লাগাম তৃণমূলের

সৌগতের ফোনের পর কেটে গেল ‘মনখারাপ’, প্রসূনের 'বিদ্রোহ'-এ লাগাম তৃণমূলের

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ফেসবুক)

এবার ‘বেসুরো’ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙাতে আসরে নামেন সৌগত রায়।

দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নেতা–মন্ত্রীদের ‘মানভঞ্জন’-এ ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। এবার ‘বেসুরো’ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙাতে আসরে নামলেন সৌগত রায়। শনিবার ফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলে এখন আর তিনি খুশি নন। শনিবার প্রাক্তন ফুটবলারকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কোথায় তাঁর সমস্যা, প্রসূনের কাছে জানতে চান সৌগত রায়। সূত্রের খবর, প্রসূনও মন খুলে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। সমস্যার একাধিক দিক তুলে ধরেন।

শুক্রবার রাতে  বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার সাংসদের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্ব কোনও সম্পর্ক রাখে না। এমনকী সাংগঠনিক স্তরে রদবদল সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানতে পারেন না। ‘মনখারাপ’ করে দাবি করেন, লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে হাওড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি ঘোষণার পরেও দলের পক্ষ থেকে কিছু জানতে পারেননি। আর পাঁচজনের মতো সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে বিষয়টি জানতে হয়।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় শনিবারই তাঁকে ফোন করে সমস্যার কথা জানতে চান। ফোনালাপে মিটেছে সমস্যা, আপাতত এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তারপরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে প্রসূন দাবি করলেন, দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙনের সমস্যায় জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। যেভাবেই হোক ভাঙন রোধই যেন এখন তৃণমূলের আসল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মতবিরোধ হলেও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেই আশ্বাস তাঁর।

বন্ধ করুন