মাড়গ্রামে মৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে গেলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। আজ, সোমবার বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর সেখানে দাঁড়িয়েই কথা বললেন কাজল শেখ ইস্যুতে। একইসঙ্গে মাড়গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত দুই তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মীর পরিবারকে একটি করে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়।
সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রাম। আর এখানের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ, তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ–সহ মোট তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে মৃত্যু হয় দু’জনের। এই ঘটনায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সুজাউদ্দিন, তার ছেলে শেখ লাকি, শেখ বাপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তাদের কড়া শাস্তির দাবিতে গ্রামে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মূল অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বোমা।
এদিকে আজ সাংসদ শতাব্দী রায় মাড়গ্রামে নিহত দুই তৃণমুল কর্মী নিউটন শেখ এবং লাল্টু শেখের বাড়িতে যান। সেখানে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব–অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। সাংসদকে কাছে পেয়ে নিজেদের দাবি তোলেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। তিনি আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানের। রবিবার কাজল শেখ বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, জেলে বসেই দলের কাজ চালাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী রায় জানান, তিনি এই বিষয়ে কাজল শেখের সঙ্গে কথা বলবেন।
ঠিক কী বলেছেন শতাব্দী রায়? অন্যদিকে এই পরিবার দুটির সঙ্গে দেখা করে সাংসদ শতাব্দী রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দুটি পরিবারই তাদের অভিভাবক হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের পরিবারের একজন করে যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব। তারা যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি আমি তদারকি করব।’ তারপর সাংসদ শতাব্দী রায় এদিন মাড়গ্রাম থানায় যান। এই খুনের ঘটনায় সাতজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup