তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন লোকসভার স্পিকারকে। সেখানে তিনি দুই সাংসদের পদ খারিজের বিষয়ে কথা বলেন। আবেদনও করা হয়েছে। একজন সুনীল মণ্ডল আর একজন বর্ষীয়ান শিশির অধিকারী। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন কাঁথির সাংসদ। শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তো এমনিই সাংসদপদ ছেড়ে দিতাম শারীরিক কারণে। নেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নিষেধ করেছিলেন বলে করিনি। বিধানসভা নির্বাচনের পরেও ভেবেছিলাম সাংসদের পদে ইস্তফা দেব। কারণ, একটা বিবেকের ব্যাপার আছে। নীতির ব্যাপার আছে। এখন যখন ওরা (তৃণমূল কংগ্রেস) অভিযোগ করেছে, তখন শুনানি হোক। দোষী প্রমাণিত হলে আমি চলে যাব।’
তবে আজ আর সেই হুঙ্কার শোনা গেল না বিরোধী দলনেতার পিতার গলায়। নির্বাচনের প্রাক্কালে অমিত শাহের সভা থেকে পরিবর্তনের পরিবর্তন করার হুঙ্কার ছেড়ে ছিলেন তিনি। রাস্তায় নেমে টর্চের আলো ফেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে রাজ্যপাল করার কথা ভাবতে শুরু করেছিল। সেখানে কার্যত তিনি আজ রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথাই জানালেন।
উল্লেখ্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘আমার ধারণা, লোকসভার স্পিকার ওনাকে এবং সুনীল মণ্ডলকে ডেকে জানতে চাইবেন, তাঁরা কোন দলে রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস না বিজেপি? এটুকু তো করা উচিতও।’ গত ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল। ২১ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভায় হাজির হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেছিলেন কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী।
এই বিষয়ে শুক্রবার শিশিরবাবু বলেন, ‘বাম জমানায় ২৪–২৫ বছর বিরোধী আসনেই ছিলাম। এখন বুঝতে পারছি, আমাদের পরিবারকে টার্গেট করে নেওয়া হয়েছে। স্পিকার যদি আমার বিরুদ্ধে তথ্য পান, তা হলে উনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন। তা আমি মেনেও নেব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিজেই সরে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে যেদিকে গিয়েছে, আমাক সেদিকে থাকতেই হবে। আমার ছেলেটা যদি অন্য দলে চলে যায়, আমি কি তাকে সমর্থন করব না! আমি ৬২ বছর রাস্তায় দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি। দরকার হলে আবার রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াব।’