রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে সোমবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড নিয়ে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে একই ছবি দেখা যায়। আর তার পরই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে এই ঘটনায় যে শান্তিকুঞ্জের শান্তি নষ্ট হয়েছে তা একেবারে স্পষ্ট।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া শিশিরের পরিবারের? এই ঘটনা যখন ঘটে তখন শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে রয়েছেন প্রবীন সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তাঁর স্ত্রী। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘বাড়ির সামনে তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। রাজনীতির নামে যা হচ্ছে, তা নিয়ে বলার কিছু নেই।’
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘ওরা খুব ভাল করেই জানে, বাড়িতে আমার ৮৪ বছর বয়সী বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছর বয়সী মা গায়ত্রী অধিকারী রয়েছেন। বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে, উত্তেজনা তৈরি করে ওরা ইচ্ছাকৃত বাবা–মাকে বিরক্ত করছে। মমতার পুলিশ ৫ পয়সার মতো দু’মুখো ও অপদার্থ। একদিকে, চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্যদিকে, যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গণ্ডগোল বাধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়া পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল।’
কী কথা হল ওম বিড়লা–শিশিরের? সূত্রের খবর, সোমবার শান্তিকুঞ্জের সামনে পৌঁছে যায় একদল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। উত্তেজনা ছড়ায় শুভেন্দুর বাড়ির সামনে। শান্তিকুঞ্জের সামনে বসানো হয়েছে গার্ডরেল। এই চিৎকার করে স্লোগানে এবং বিক্ষোভে অস্থির লাগে শিশির অধিকারীর এবং বাড়ির সদস্যদের। এই বিষয়টির বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিতে ফোনে নালিশ করেছেন প্রবীণ সাংসদ। যদিও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে কার্ড ও ফুল তুলে দেওয়ার জন্যে এসেছিলাম। কোনও অশান্তি করতে আসিনি। উনি বাড়িতে ছিলেন না পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই পুলিশের মাধ্যমে ওঁর কাছে কার্ড ও ফুল পাঠিয়ে দিয়েছি।’