ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। বিজেপি ছেড়ে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতেই এই মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের কাছে দরবার করেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ফের ওম বিড়লাকে ফোন করলেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা।
কিছুদিন আগেও একাধিকবার শিশির–সুনীলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে দরবার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কিছুতেই সেই কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না। দু’বার তাঁকে চিঠি লেখা হয়েছে। এমনকী ফোনেও একাধিকবার আবেদন করা হয়। তা সত্ত্বেও কাজ হয়নি। এবার শুভেন্দু অধিকারী দলবিরোধী আইন নিয়ে সোচ্চার হতেই পাল্টা সোমবার ফের একবার স্পিকারকে ফোন করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁকে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তবে কবে তা কার্যকর হবে তা জানাননি।
রাজনীতির খাতায় কলমে কাঁথি লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী এবং বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুনীল মণ্ডল। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও একটি সভামঞ্চে দেখা যায় কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকেও। নির্বাচনের আগে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন তাঁরা। তারপরই শাসকদলের সঙ্গে দুই সাংসদের সম্পর্কে ইতি পড়ে।