লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরেই দেশের হয়ে খেলতে বহরমপুর ছেড়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তবে ক্রিকেটে বিশ্বজয়ী পাঠান জেতার পর আজ, বৃহস্পতিবার এলেন নিজের সংসদীয় এলাকা বহরমপুরে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা উপলক্ষ্যে জেলায় থাকতে দেখা গেল পাঠানকে। হাতে আর মাত্র দুটো দিন। তারপরই একুশে জুলাই শহিদ দিবস। যা ধর্মতলায় পালিত হয়। এই সমাবেশের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল সাংসদ হওয়ার পর থেকে এলাকায় দেখাই মিলবে না ইউসুফ পাঠানের। তিনি খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন। সেই অভিযোগই এবার উড়িয়ে দিলেন বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
আজ, বৃহস্পতিবার বহরমপুরে এসে শহিদ দিবস পালনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন ইউসুফ পাঠান। তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সভা করা হয় বহরমপুরে। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সাংসদ খলিলুর রহমান, আবু তাহের খান এবং ইউসুফ পাঠান। এই তিন সাংসদ ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন। জেলা জুড়ে এই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। এদিন ইউসুফ বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি রাজনীতিতে যেমন দায়বদ্ধ থাকব তেমন পরিবারের প্রতিও দায়বদ্ধ থাকব। আবার খেলার প্রতিও দায়বদ্ধ। আমি খেলেই এত বড় হয়েছি। তবে এখানকার সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কাজ করার আছে। এখানকার মানুষের কাজ আটকে যেতে দেব না।’
আরও পড়ুন: কসবা এলাকার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কঙ্কাল, সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে আলোড়ন
এবার বহরমপুরের রবীন হুড অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে জিতেছেন ইউসুফ পাঠান। তার পর থেকেই জেলার ছবি পাল্টে যেতে শুরু করেছে। এখানের মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করেছেন পাঠান। আর আজ এসে পাঠানের বক্তব্য, ‘নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেই প্রতিশ্রুতি পালনে আমি দায়বদ্ধ। স্পোর্টস অ্যাকাডেমি করার কথা বলেছিলাম সেটা নিয়ে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলা চলছে। জমি নেওয়ার জন্য কথা বলা হয়েছে। এখানকার মানুষের জন্য যে কাজ করার কথা বলেছি, সেই কাজগুলি আমি করব।’
এছাড়া রাজনীতিতে পাঁচবারের জয়ী সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে পরাজিত করে এখন হিরো ইউসুফ পাঠান। অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, তৃণমূল যদি তাঁকে হারাতে পারে তবে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন এবং মাঠে গিয়ে বাদাম বেচবেন। যদিও এখনও তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু ইউসুফ পাঠান জেতার পরও অধীর চৌধুরী সম্পর্কে একটি খারাপ কথাও বলেননি। বরং বলেছেন, উনি সিনিয়র লিডার। প্রয়োজনে ওনার সঙ্গে দেখা করবেন। আর আজও ওই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। শুধু এই লোকসভা কেন্দ্রের উন্নয়ন করার কথা বলে গেলেন।