রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতপার্থক্য উন্নয়নের কাজে বাধা হতে পারে না। এই কথা বারবার বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিআইএম সরকারকে উৎখাত করতে লাগাতার আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের দলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে এখন তিনি হ্যাট্রিক করে বাংলার কুর্সিতে আসীন। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রয়েছে। তাই বামফ্রন্ট নেতার নামে রাস্তা তৈরি হল বসিরহাটে।
আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই রাজনৈতিক সৌজন্যের বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিক কী ঘটেছে বসিরহাটে? এখানে প্রয়াত বামপন্থী বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি। শুধু তাই নয়, এই বামপন্থী নেতা যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন মানুষের কাছে। এমনকী মাস্টারমশাই বলেই অনেকের কাছে আজও পুজনীয় তিনি। আর সেটা মনে রেখেই তাঁর নামে রাস্তা তৈরি করে সৌজন্যের নজির গড়ল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বসিরহাট পুরসভা।
স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বসিরহাট পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নৈহাটি বকুলতলা থেকে বিদ্যুৎ সংঘের মুখ পর্যন্ত রাস্তা প্রয়াত বিধায়কের নামে রাখা হয়। এই অনুষ্ঠানও আয়োজন করেছিল ওয়ার্ড নাগরিক কমিটি। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পুরসভার প্রশাসক অসিত মজুমদার সহ ‘নারায়ণ মুখার্জি স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা।
এখন সামনেই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে এই সৌজন্যের নজির দেখে আপ্লুত এলাকার মানুষজনও। এই বিষয়ে পুর প্রশাসক অসিত মজুমদার বলেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে অনেকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। কিন্তু কোনও দিন সৌজন্য নষ্ট হয়নি। বসিরহাটের উন্নয়নে একসঙ্গে চলেছি।’ বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নারায়ণবাবু সাতবারের বিধায়ক। আমার শিক্ষক ছিলেন। ওনার নামে রাস্তার নামকরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’