বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিল বিজেপি, অভিযোগ ঘিরে আলোড়ন নন্দীগ্রামে

তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিল বিজেপি, অভিযোগ ঘিরে আলোড়ন নন্দীগ্রামে

তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে

এই মারধরের সাক্ষী রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোর দাসকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কর্মী। তবে এই ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি। বরং বিজেপির স্থানীয় স্তর থেকে বলা হয়েছে, পারিবারিক ঝামেলা থেকে এসব হয়েছে।

কয়েকদিন আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল। নন্দীগ্রামের বহু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মী সেখানে হাজির হয়েছিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেখান থেকে চলে যেতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই আবার খবরে নন্দীগ্রাম।

ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের জামবাড়ি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জামবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কিশোর দাস। তিনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবেই পরিচিত। তাই তিনি নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় পা মিলিয়ে ছিলেন। আর তারই খেসারত দিতে হয় তাঁকে। আজ, বুধবার সকালে কিশোরবাবুর মা এবং স্ত্রীকে কয়েকজন বিজেপি কর্মী এসে প্রচণ্ড মারধর করেছেন। এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ এই ঘটনার সময় চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন কিশোর দাস। আর কিশোর দাসের অভিযোগ, ‘‌সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তায় বেড়া দেওয়া রয়েছে। সেই বেড়া সরাতে গেলে কয়েকজন বিজেপি কর্মী এসে আমার উপর অতর্কিতে হামলা করে। তার আগে মা এবং স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে। আর আমার মাথা মেরে ফাটিয়ে দেয় বিজেপির লোকজন। এমনকী আমার শরীরের নানা জায়গায় আঘাত লাগে।’‌ পুলিশে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন কিশোরবাবু।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই মারধরের সাক্ষী রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোর দাসকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা করার পরে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। তবে এই ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি। বরং বিজেপির স্থানীয় স্তর থেকে বলা হয়েছে, পারিবারিক ঝামেলা থেকে এসব হয়েছে। এখন তা নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন