তিনি এখন কোন দলে রয়েছেন, এই বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে সময় চাইলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছেন তিনি। এক মাস তিনি সময় চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির সদস্যই শুধু নন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতাও বটে। গত বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। শুধু তাই নয়, বিজেপির হয়ে সওয়াল করেছিলেন তিনি।
এর আগে শিশির অধিকারীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু শিশির অধিকারী নন, সেইসঙ্গে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। সম্প্রতি সাংসদ সুনীল মণ্ডল লোকসভার অধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী এবং তিনি দলের হয়েই কাজ করেন। সুনীল মণ্ডলের এই অবস্থান থেকেই স্পষ্ট যে তাঁর তৃণমূলে ফেরা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর অবস্থান স্পষ্ট হয়নি। লোকসভার অধ্যক্ষকে জানানো তো দূরস্থান, দলীয় স্তরেও শিশির অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। বিধানসভা ভোটের আগে শিশিরের দুই ছেলে শুভেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ছেলেদের পাশে দাঁড়াতেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল। অপর ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী খাতায় কলমে তৃণমূলে থাকলেও এখনও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে শিশির তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে লোকসভার অধ্যক্ষকে কী জানান, এখন সেটাই দেখার।
এর আগে বিজেপি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সরব হলে পাল্টা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান কী, তা জানানো হোক। এই দাবি তুলেই ক্ষান্ত থাকেনি তৃণমূল। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন ও ফোনও করেন। এর কিছুদিনের মধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষ দুই সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর কাছে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সুনীল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জানান। এরই মাঝে তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সঙ্গে দিল্লিতে মুকুল রায়ের আলাদা করে কথাও হয়ে যায়।