তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। জেলা সভাপতি থেকে চেয়ারম্যানে বদল ঘটানো হয়েছে। তাতে দুটি বিষয় উঠে এসেছে। এক, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই রদবদল করা হয়েছে। কারণ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দুই, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুক্ত সংগঠন। এখন তিনি ইডি হেফাজতে। দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। তাই এবার তাঁর তৈরি করা জেলা সংগঠনে বদল নিয়ে আসা হল বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাব–প্রতিপত্তি থাকলেও বিজেপি নানা জেলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একুশের নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসন জিতেছে বিজেপি। সুতরাং জেলা সংগঠনে ফাঁক রয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন নেতৃত্ব। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর দত্ত। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হল শ্যামল রায়কে। আবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন গোপাল শেঠ। তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হল বিশ্বজিৎ দাসকে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। জয় পায় বিধানসভাতেও।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতাদের নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। তা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই এখানে বদল আনা হল। বারাসত সাংগঠনিক জেলার নয়া সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। এখানের দায়িত্বে ছিলেন অশনি মুখোপাধ্যায়। এই অশনিবাবু পার্থ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই পার্থ ইস্যুতে বারাসতে এই বদল আনা হল। আর ব্যারাকপুর–দমদম সাংগঠনিক জেলায় নয়া সভাপতি এখনও কাউকে করা হয়নি। আগে ছিলেন পার্থ ভৌমিক।
উল্লেখ্য, যদিও পার্থ ভৌমিক কখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। তিনি বরাবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলে খবর। নদিয়া জেলার দায়িত্ব সাংগঠনিকভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রানাঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডের পর দলের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেটা মাথায় রেখেই এখানে বদল করা হয়েছে। এছাড়া হুগলি–শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতিকেও বদল করা হয়েছে। সুতরাং এই জেলার সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী সম্ভবত মন্ত্রী হতে চলেছেন বলে গুঞ্জন। পার্থ মুক্ত সংগঠন তৈরি করতেই এই বদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।