ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি প্রসঙ্গে বরাবরই চাপে থেকে রাজ্যের শাসক দল। এবার তৃণমূলের ঘুম কাড়তে সামনে উঠে এসেছে ৪ বছর পুরোনো ঘটনা। মালদায় ২০১৭ সালে বন্যা হয়েছিল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই বন্যায়। বাড়িছাড়া হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেই প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিল সরকার। যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠানো হয়। তবে অভিযোগ, সে টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পাননি। টাকা পকেটস্থ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খোদ। আর এই অভিযোগ জানিয়েই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। সেখানে রাজ্য সরকার দুর্নীতির কথা মেনে নিয়েছে।
অভিযোগ, যাঁরা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। বদলে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের বোরুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা নিজের ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন। পরে সেখান থেকে তা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন বিডিও। এদিকে এই এফআইআর-এর ঘটনা সামনে আস্তেই ঘাসফুল শিবিরে অস্বস্তি বেড়েছে।
২০১৭ সালের বন্যার পর রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৩৩০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে অভিযোগ, যাঁরা সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি ত্রাণের। এই ঘটনায় নয়-ছয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। বঞ্চিতরা লিখিত অভিযোগও জানান। তবে তারপরও প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে পাঁচ-ছয়বার করে টাকা ঢুকেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। আর এরপরই সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিডিও অনির্বাণ বসু।