আইন মেনে পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশে এক পাচারকারীর বাড়িতে তল্লাশির সময় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই অপরাধে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে বেধড়ক মারধর করল পাচারকারীরা। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত লাগোয়া শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের। অভিযুক্ত পাচারকারীকে পরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারকারীদের দাপট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামটি সীমান্তে ভারতের দেওয়া কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে। সেখানেই মচ্ছিরউদ্দিন নামে এক পাচারকারীর বাড়িতে শনিবার রাতে তল্লাশি চালায় বিএসএফ। তল্লাশির সময় পুলিশের নির্দেশে আইন মেনে সাক্ষী হিসাবে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ মাহাতো। অভিযোগ, রবিবার সকালে চাষের কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অরুণবাবু। তখন তাঁর পথ আটকায় মচ্ছিরউদ্দিন ও তাঁর দলবল। তিনিই বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে অরুণবাবুকে ব্যাপক মারধর করে তারা। এর পর বাংলাদেশের দিকে পালায় দস্যুরা। পরে ভারত ভূখণ্ডে ফেরার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করে হিলি থানার পুলিশ।
অরুণবাবু বলেন, ‘আমাকে বিএসএফের আধিকারিকরা জিজ্ঞাসা করেন, এটা মচ্ছিরউদ্দিনের বাড়ি? আমি জানাই, হ্যাঁ। সেজন্য আমাকে মচ্ছিরউদ্দিন ও তার দলবল মারধর করেছে।’
অভিযুক্ত মচ্ছিরউদ্দিন এলাকার দাগী পাচারকারী। তার বিরুদ্ধে হিলি থানায় বহু অভিযোগ রয়েছে। ভারত থেকে ফেন্সিডিলসহ একাধিক জিনিস পাচারে যুক্ত সে। আবার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে ঢুকতে সাহায্যও করে।