রাজ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা বিতরণের আগে প্রতিটি আবেদন বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখেছেন প্রশাসনের কর্মীরা। তার পরেও অভিযোগের বিরাম নেই। শাসকদলের নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে প্রায় সব জেলা থেকে। কিন্তু আরামবাগ থেকে যে অভিযোগ এসেছে তা এক কথা অভূতপূর্ব। সেখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার পাকা বাড়ির ওপরে তৈরি হচ্ছে আবাসের ঘর। স্থানীয় সাংসদের বাড়ির কাছেই এই বেনিয়মে অস্বস্তিতে তৃণমূল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ।
আরও পড়ুন - বাংলায় আসতে চলেছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে?
পড়তে থাকুন - 'আর একতরফা হবে না, সেটা সরস্বতী পুজোয় প্রমাণ হয়ে গেছে, রামনবমীতে প্রমাণ হবে'
আরও পড়ুন - পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নারায়ণগড়ের নির্যাতিতা
আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের হাজিপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা বন্দনা কুণ্ডু বাংলার বাড়ি প্রকল্পের ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে পাকা বাড়ির দোতলায় তৈরি করছেন ঘর। ঘরের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। হয়ে গিয়েছে ছাদ ঢালাই। এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ঢুকে পড়লেই হল। আর এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। কারণ এই হাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বাসিন্দা আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ।
অভিযুক্ত তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, তাঁর কোনও বাড়ি নেই। পাকা বাড়ি তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের। সেই বাড়ির ছাদে বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। ওদিকে মিতালি বাগের দাবি, ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানাব। ওদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, যেন তেন প্রকারে নিজের দলের লোকেদের পাইয়ে দেওয়াই তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প দল, মত বা জাতি দেখে দেওয়া হয় না। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে লাগু করতে এত অপত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এভাবে মানুষের করের টাকা নয় ছয় করছে তৃণমূল সরকার।