শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এবার প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত নওয়াপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে চার লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তি। তার ভিত্তিতে মহাকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছেন তারাপীঠ থানার লাহা গ্রামের বাসিন্দা গোলক বিহারী। তার অভিযোগ, ২০১৪ সালে তিনি ছেলের চাকরির জন্য পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরেও প্রতিশ্রুতি মত চাকরি না পাওয়ায় তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে টাকা চান। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপরে তিনি মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তার দাবি, তিনি বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তার কাছে টাকা নেই। অর্থাভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এখন সেই টাকা পেলে তিনি চিকিৎসা করাতে পারবেন। তাই টাকা ফেরত চেয়ে তিনি মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গোলক বিহারীর দাবি, জমি জায়গা বিক্রি করে তিনি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পঞ্চায়েত প্রধান তা ফেরত দেননি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগকারীকে চিনি না। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। বিরোধীদের প্ররোচনায় ওরা আমার সম্মান নষ্ট করতে চাইছে। চক্রান্ত করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছি। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’