বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > অনাস্থার আগেই পদত্যাগ তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের, পূর্ব বর্ধমান জুড়ে শোরগোল

অনাস্থার আগেই পদত্যাগ তৃণমূল কংগ্রেস প্রধানের, পূর্ব বর্ধমান জুড়ে শোরগোল

প্রধান শর্মিলা মালিক

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান–সহ বেশ কয়েকজন সদস্য প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।

একুশের নির্বাচনের পর থেকেই গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার অনাস্থা এড়াতে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করলেন পঞ্চায়েত প্রধান। তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, কারও কথা শুনতেন না প্রধান। তাই অনাস্থা আনা হয়েছিল। তার আগেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান–সহ বেশ কয়েকজন সদস্য প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। কিন্তু আইনগত কারণে অনাস্থা গৃহীত হয়নি। তখন থেকেই পঞ্চায়েতের সদস্যরা কোনও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। সুতরাং উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছিল। বেশ কয়েকবার প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শর্মিলা মালিক। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি।

আবার পঞ্চায়েতে পরিষেবা নিতে আসা মানুষজনের সঙ্গে প্রধান দুর্ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস। পঞ্চায়েতের সদস্যের সঙ্গেও তিনি একই আচরণ করতেন। তাই প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন বলে জানান উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস। সেটা ঘটত বুঝতে পেরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধান।

এই বিষয়ে বিজেপির কটাক্ষ, ভাগ বাঁটোয়ারার জেরে পঞ্চায়েত প্রধান পদত্যাগ করেছেন। বিজেপির বর্ধমান সদর জেলা কনভেনার কল্লোল নন্দনের অভিযোগ, এই অঞ্চলের মানুষজন পঞ্চায়েত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত প্রশাসক নিযুক্ত করে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম স্বাভাবিক করা। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধান শর্মিলা মালিক।

বন্ধ করুন