কমল অধিকারী। কোচবিহারের মাথাভাঙার জোরপাটকি পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবেই তিনি পরিচিত। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি আবার সিভিক কর্মী। এলাকায় ভালো কবাডি খেলার সুবাদে তিনি সিভিক হিসাবে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। তবে শাসকদলের দলের টিকিটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি সিভিকের দায়িত্বও সামলান তবে নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে মহকুমার এক পুলিশ কর্তার দাবি, অনুমতি নিয়ে যদি তিনি প্রধানের দায়িত্ব সামলান তবে অসুবিধার কিছু নেই। তবে সংশ্লিষ্ট প্রধান অবশ্য় জানিয়েছেন, তিনি কবাডি খেলতেন। সেই কোটাতেই তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। কাজে যোগ দিলেও তিনি ডিউটি করেননি। ভবিষ্যতেও তাঁর সিভিকের কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে তিনি জোরপাটকির প্রধানের দায়িত্ব পান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সিভিক কর্মী হিসাবে চাকরি পান। তাঁর দাবি, ২০২০ সালে জেলার একটি কবাডি প্রতিযোগিতায় তাঁরা উল্লেখযোগ্য ফল করেছিলেন। এরপরই টিমের কয়েকজনকে সিভিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তিনি কাজে যোগ দিলেও প্রধানের দায়িত্ব থাকায় ডিউটি করেননি। তিনি বলেন, ‘কাজ করব বলে যোগ দিয়েছিলাম। আইন মেনে অনুমতি নিয়েই সব করেছি। তবে এখন সিভিকের কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আর নেই।’ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল মানুষের কথা ভাবে না। তাই প্রধানকে সিভিকের কাজ দিয়েছে।