ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে কারচুপি করার অভিযোগে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে মুখ বাঁচাতে দল থেকে বিদায় করল তৃণমূল। শুক্রবার হুগলির গরলগাছা পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ সিংকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীর নামে ২০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।
হুগলির গরল আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের তালিকায় ব্যাপক কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। দেখা যায়, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা না পেলেও টাকা পেয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী। তাঁর পাকা বাড়ির কোনও ক্ষতি না হলেও ধূপকাঠি তৈরির কারখানা নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনই দাবি করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান।
এর পর ওই তালিকা খতিয়ে দেখে ১০২ জনের মধ্যে ৯১ জনের নাম ভুয়ো বলে জানতে পারেন বিডিও। তালিকা থেকে বাদ পড়ে সেই নাম। ততক্ষণে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে গিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রী-সহ ১৭ জন। সাফাই দিয়ে জানিয়েছিলেন তাড়াহুড়ো করে তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শুক্রবার তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ সিংকে তলব করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাবতীয় নথি নিয়ে দলের মহাসচিবের কাছে যান তিনি। নথি খতিয়ে দেখে মনোজ সিংকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ওদিকে এই খবর পাওয়ার পর জেলা বিজেপির তরফে এক মুখপাত্র প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘ভুল করে তালিকায় কয়েকজন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এমন দুর্নীতি প্রত্যেক পঞ্চায়েতে হয়েছে। বাকিদের কী হবে?’