খেজুরিতে পঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান সমরশংকর মণ্ডলের নির্দেশেই বোমা বানাচ্ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির পর NIA-র গোয়েন্দাদের এমনটাই জানিয়েছেন খেজুরি বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্ত রতন প্রামাণিক। শুক্রবার ওড়িশার কটকের কাছে এক গ্রাম থেকে রতনকে গ্রেফতার করেন NIA-র গোয়েন্দারা। ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া ছিল সে।
গত ৩ জানুয়ারি খেজুরির জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে উড়ে যায় বাড়ির চাল। মৃত্যু হয় ১ জনের। প্রাথমিকভাবে তৃণমূলের তরফে একে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বলে চালানোর চেষ্টা হলেও পরে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করে NIA. তদন্তে নেমে গত মাসে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সমরশংকর মণ্ডলসহ ২ তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, কঙ্কনের বাড়িতে বোমা তৈরি করছিল রতন প্রামাণিক নামে এক যুবক। ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া ছিল সে। শুক্রবার কটকের কাছে এক গ্রাম থেকে রতনকে গ্রেফতার করে ভুবনেশ্বর আদালতে পেশ করেন গোয়েন্দারা। সোমবার তাঁকে পেশ করা হয় তমলুক আদালতে। সেখানে ৬ মে পর্যন্ত অভিযুক্তকে NIA হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। NIA সূত্রের খবর, জেরায় রতন জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই বোমা বানাচ্ছিলেন তিনি।
যদিও তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তবে তৃণমূলের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।