একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রবিবার ও সোমবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ থেকে ব্লকে ব্লকে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে দুর্গাপুর–ফরিদপুর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহামিছিল হয়।
ঠিক কী ঘটেছে দুর্গাপুর–ফরিদপুর ব্লকে? কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই আজ, রবিবার দুর্গাপুর–ফরিদাপুর ব্লকে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ হয়।
ঠিক কী খবর মিলছে? রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, গত ৯ মাসের পাওনা টাকা বাকি রাজ্যের। সব মিলিয়ে সাত হাজার ২৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার তা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে বলে শাসকদলের অভিযোগ। টাকা না মেলায় তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নামার কর্মসূচি নিয়েছে। এই ঘটনায় ফের কেন্দ্রকে চিঠি লেখার বিষয়ে মনস্থির করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়।
তারপর কী ঘটল সেখানে? কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত ব্লক ও পুরসভা এলাকায় প্রতিবাদ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো আজ ওই ব্লকের ছাত্র, যুব, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। লাউদোহা ঝাঁঝড়া কোলিয়ারি এলাকা থেকে মিছিল যায় ফুরিপুর থানার সামনে। সেখানে মিছিল শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।