শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে তাঁর বাড়ি। বাড়ির থেকে কিছু দূরে মাঠে উদ্ধার হয়েছে স্বামীসহ ৩ জনের ঝলসানো দেহ। তার পরও গোটা দিন সন্ধান মেলেনি তাঁর। পরদিন সকালে পুলিশ জানা, থানায় লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ হয়েছে বাজি বানানোর মশলায়।
শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয় অর্জুননগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রামের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজকুুমার মান্নার বাড়িতে। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল তা যেমন বড় প্রশ্ন, তার থেকেও কারা নিয়ে গেল নিহত রাজকুমার ও তাঁর ২ ভাইয়ের ঝলসানো দেহ? শনিবার সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজকুমার মান্নার স্ত্রী বলেন, ‘আমার সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছিল। তখনই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পাই। বেরিয়ে এসে দেখি ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।’ নিহতের মেয়ে বলেন, ‘আমি এখানে ছিলাম না। সকালে এসেছি। মা বলল, তোর বাবা আর নেই। তোর বাবাকে কারা যেন নিয়ে গেল। বুঝতে পারছি না। তবে তারা পুলিশ নয়।’ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে উদ্ধার হয় রাজকুমারের দেহ। সঙ্গে দেহ পাওয়া যায় তাঁর ২ ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুরও।
রবিবার সকালে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পুলিশকে লিখিত বয়ান দিয়েছেন রাজকুমারবাবুর স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে বাজি তৈরির কাজ চলছিল। সেখানে ছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাদের একজন ধূমপান করছিলেন। তা থেকেই হয়েছে বিস্ফোরণ।’
পুলিশের এই তত্ত্বের সঙ্গে শনিবার সকালে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া রাজকুমারবাবুর স্ত্রীর বক্তব্যে বিস্তর ফারাক। প্রশ্ন হল, সকালে যিনি বললেন, ‘আমার সবে চোখটা লেগে এসেছিল’, রাতে তিনি কী করে জানলেন যে বিস্ফোরণ স্থলে কেউ বিড়ি ধরিয়েছিল?