ডায়মন্ড হারবারের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা। মঙ্গলবার ২ পক্ষের মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক হয়। বৈঠকের পর কোনও পক্ষই কোনও কথা বলেননি। তবে দীপকবাবু জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলে ছিলাম। তৃণমূলেই আছি।’
দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দীপকবাবুর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাঁর দাবি, ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে তাঁকে কাজ করতে দেয়নি দলেরই একাংশ। পালটা তৃণমূলের দাবি, দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না দীপকবাবু নিজেই।
সম্প্রতি শুভেন্দুর বিজেপি যোগদানের মরশুমে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দীপকবাবু। তখন একবার তাঁর দলত্যাগের জল্পনা ছড়ায়। গত ২৭ ডিসেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবারের সভায় দেখা যায়নি তাঁকে। যার ফলে ফের তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
দীপকবাবুর দাবি, ১৯৮৫ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বীতশ্রদ্ধ। তৃণমূলে ছিলাম, তৃণমূলে আছি। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে যদিও কিছু বলতে চাননি তিনি। বলেন, ‘ওটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’
তবে এদিনও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দীপকবাবু। বলেন, ‘ফের ভোটে লড়ব কি না ভেবে দেখব। বিধায়ক হয়ে যদি মানুষের কাজই না করতে পারি তাহলে তাদের সামনে জবাব দেব কী? রাজনীতিতে থাকবো কি না তা ঠিক করবো ১৫ জানুয়ারির পর’।