মান ভাঙাতে বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক ফের মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গেলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন অবশ্য জেলার ২ প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিতের কথা হয়েছে। গত মাসে মিহিরবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর দেখা পাননি তৃণমূল নেতারা। রবিবাবুর সঙ্গে আলোচনা করলেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন মিহিরবাবু।
গত ৩ অক্টোবর দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দল পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এর পর ফেসবুকে জনান, তিনি আর তৃণমূলে নেই। ইচ্ছা করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন।
এর পর মিহির গোস্বামীর বাড়িতে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষসহ তৃণমূল নেতারা। কিন্তু তাঁর দেখা পাননি। পরে যদিও বিজেপি সাংসদ নীশীথ অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন মিহিরবাবু। তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
মঙ্গলবার যদিও রবিবাবুকে ফেরাননি মিহির গোস্বামী। এদিন কোচবিহারে মিহিরবাবুর বাড়িতে ২ জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। কুশলবিনিময় ছাড়াও তৃণমূলে মিহিরবাবুর গুরুত্ব তাঁকে বুঝিয়ে বলেন মন্ত্রীমশাই।
পরে সাংবাদিকদের রবিবাবু বলেন, ‘আমি তো অনেক আগেই এসেছিলেন বিজয়া করতে। দেখা না পেয়ে অপেক্ষা করে হয়েছে। অনেকেরই মনের মধ্যে ক্ষোভ দুঃখ থাকতে পারে। সেটা যদি বলে কেউ হালকা হয়, তাতে দোষের কিছু নেই। আমরা চাইছি মিহিরদা তৃণমূলে ছিল, আছে, থাকুক। তিনি বহু বছর ধরে ছাত্র, যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। তিনি জেলার প্রবীণ নেতাদের মধ্যে অন্যতম। জেলার মানুষের অনেক সুখ দুঃখের সাথী তিনি। তাদের মতো লোককে আমরা তো দলে রাখতেই চাই’।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করলেন তিনি যে নিজের অবস্থানে অনড় তা এদিন ফের স্পষ্ট করে দেন মিহির গোস্বামী। তিনি বলেন, ‘আসল কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৩০ বছরের। গত ১০ বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের নেতৃত্বের থেকে যে সম্মান পাওয়ার কথা তা পাইনি। আমি আমার কথা ৩ অক্টোবর বলেছিলাম। আমার মনে হয়েছে জেলা ও রাজ্য স্তরে আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। দলের কাছে আমি খুব প্রয়োজনীয় এটা ভাবলে বোকামি হবে। সেক্ষেত্রে আমি যা বলেছি, আজও বলছি, আগামী দিনেও বলব’।
ওদিকে বিজেপি সূত্রের খবর, প্রবীণ এই বিধায়কের গতিবিধির ওপড় কড়া নজর রেখেছে তারা। বিজেপির আশা তাদের দলে যোগদান করবেন মিহির গোস্বামী। তবে এব্যাপারে এখনো কোনও কথা বলেননি বিধায়ক নিজে।