শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর বার্তা দিলেন শুভেন্দুর ২ অনুগামী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। ২ জনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল।
রবিবার সাংবাদিকদের সামনে মোসারফ হোসেন বলেন, আমি তৃণমূলেই রয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের নেত্রী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমি তৃণমূলের হয়েই কাজ করব।
ওদিকে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তৃণমূলে ২ জনই শুভেন্দুর অনুগামী বলে পরিচিত।
শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ার পর মোসারফ ও গৌরচন্দ্র মণ্ডলের গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সম্প্রতি জেলাপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। শুভেন্দুর গড়ে এই সফর ভাল ভাবে নেয়নি নেতৃত্ব। গত ৮ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে প্রয়াত জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। ওই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু। দলীয় প্রতীক ছাড়া ওই সভায় হাজির হননি তৃণমূলের কোনও নেতা। এর পর মোসারফ হোসেনের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২ জনেই দলের অন্দরে ভুল স্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বলে মেনে নিয়েছেন। সঙ্গে তাঁদের দাবি, বিরোধীদের চক্রান্তের ফলে দলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তাঁদের।