বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস। এ নিয়ে প্রতিটি জেলার নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আগেই সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদের পাশাপশি ব্লক সভাপতি পদে ব্যাপক রদবদল নিয়ে এসেছে তৃণমূল। এবার ওই সমস্ত জেলাগুলির সভানেত্রী পদেও রদবদল আনলো তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধায়ক এবং সাংসদদের পরিবর্তে ৩০টি নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে সভানেত্রী পদে। সাধারণত শাখা সংগঠন থেকে নেত্রী করার নজির খুব একটা চোখে পড়ে না। এই সমস্ত নজির দেখা শুধুমাত্র বামপন্থী দলে। তবে অন্যান্য দলগুলিতে এই সমস্ত বিষয়গুলি চোখে পড়ে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা সুষমা স্বরাজ এরা কেউই দলের মহিলা সংগঠনের প্রধান ছিলেন না। তবে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস মহিলাদের গুরুত্ব বেড়েছে। তাছাড়া এতদিন দেখা যেত যে বিধায়ক বা সংসদদেরই সভানেত্রী পদের দায়িত্ব দেওয়া হতো। তবে এবার এরকম তিনজনকেই সভানেত্রী পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এরা হলেন সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল, কলকাতার ৯১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি চট্টোপাধ্যায় এবং হাওড়া দক্ষিণের প্রয়াত সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে।
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দার্জিলিং জেলায় সর্বস্তরের পদাধিকারীর নাম আগে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। এবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহের পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মালদহের ১৮ টি ব্লক, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১২টি ব্লক এবং উত্তর দিনাজপুরে ১৪ টি ব্লকে মূল সংগঠনের পাশাপাশি যুব, মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার একে একে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলার পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তারপরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে নতুন নিযুক্ত পদাধিকারীদের বার্তা দেওয়া হবে।