আমফানের ত্রাণ দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় এক পুর প্রশাসককে অপসারণ করল তৃণমূল। অপসৃত হালিশহর পুরসভার প্রশাসক অংশুমান রায়। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে এক বৈঠকের পর অংশুমান রায়কে সরানোর কথা ঘোষণা করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে তিনি জানান, গোটা জেলায় আমফানের ত্রাণ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৮৭ জনকে শো কজ করা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে প্রত্যেককেই অপসারণ করা হবে। মন্ত্রীর দাবি, জেলায় ৯৮ শতাংশ আবেদনকারী ক্ষতিপূরণ পয়েছেন। অনৈতিকভাবে ত্রাণ নেওয়ায় ফেরত এসেছে কয়েক কোটি টাকা।
গত ২০ মে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় তছনছ হয়ে যায় একাধিক জেলা। পরদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপদকালীন ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১,০০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দেন তিনি। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে ২০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর পরই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সেই টাকা শাসকদলের নেতা ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে চালান করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। লাগাতার বিক্ষোভের মুখে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও নেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানায় রাজ্য সরকার। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন শুধুমাত্র টাকা ফেরত দিয়েই পার পেয়ে যাবে দুর্নীতিগ্রস্তরা। কেন থানায় দায়ের হবে না অভিযোগ?