পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের। পানিহাটি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে খড়দা থানায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর পর ওই কাউন্সিলরের পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত মহালয়ার সন্ধ্যায়। সোদপুর স্টেশন রোডে একটি নামি কাপড়ের দোকানের সামনে আইন ভেঙে রাস্তার ওপর গাড়ি ঘোরাচ্ছিলেন কয়েকজন টোটোচালক। তখন তাদের বাধা দেন সেখানে উপস্থিত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, তখন ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাপক মারধর করেন ২ টোটোচালক। হাতে আঘাত পান সিভিক ভলান্টিয়ার। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। অভিযুক্ত ২ টোটোচালককে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। অভিযোগ, তখন পুলিশের গাড়ি থেকে ২ টোটো চালককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন পানিহাটি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস।
এর পরই জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে খড়দা থানায় পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপারের নির্দেশে জয়ন্তবাবুর পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। কাউন্সিলর হিসাবে ১ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকত জয়ন্তবাবুর সঙ্গে।
প্রাথমিকে আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ তৃণমূল সরকারের জমানায় আগে কখনও হয়নি। এখন দেখার জয়ন্তবাবুর পরিণতি শম্ভুনাথ কাউয়ের মতো হয় কি না।
তবে বিজেপির দাবি, রাজ্যে শাসকদলের হাতে পুলিশকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে কলকাতায় কলেজ নির্বাচনে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুলিশকর্মীর। বীরভূমের দুবরাজপুরে পুলিশকর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছেন। সম্ভবত তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বলি হতে চলেছেন জয়ন্তবাবু।