সৌজন্যের অনন্য নজির দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজও নয়াদিল্লি গিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতা–মন্ত্রীদের কাছে নালিশ ঠুকছেন। আর বুধবার কাঁথিতে সভা রয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের। একই দিনে তৃণমূল কংগ্রেসেরও সভা ছিল। কিন্তু ওই সভা স্থগিত করা হয়েছে বলে আজ, মঙ্গলবার জানিয়েছেন কাঁথি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। নিজেদের কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে দিয়ে সৌজন্য দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন সৌজন্য দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস? গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পাল্টা সভা কাঁথিতে করার সিদ্ধান্ন নেন বিরোধী দলনেতা। একই দিনে শাসক–বিরোধীর সভা একই জায়গায় হলে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। যদিও সুপ্রকাশ এবং শুভেন্দুর মধ্যে বাকযুদ্ধ লেগেই রয়েছে। সেখানে এমন পরিস্থিতিতে তৈরি হলে তা কারও পক্ষেই সুখকর হবে না। তাই সংঘাত এড়াতে নিজেদের কর্মসূচি স্থগিত রাখল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বলেছেন সুপ্রকাশ গিরি? নিজেদের সভা স্থগিত রাখা নিয়ে সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘গোটা জেলা জুড়েই আমাদের এক মাস ধরে ‘গদ্দার হটাও’ কর্মসূচি চালু রয়েছে। সেখানে বুধবার শুভেন্দু সভা করছেন। ঠিক তার এক কিলোমিটার দূরে আমাদের সভা করার কথা ছিল। আমরা পুলিশের কাছ থেকে আগাম অনুমোদনও নিয়েছিলাম। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে ওই একই দিনে সভা করার অনুমতি নিয়ে এসেছেন। আমরা কোনও ঝামেলা চাই না। তাই একই দিনে সভা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছি।’
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এখন শুভেন্দু খাসতালুকে এসে পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি এখানে এসে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। আর গোটা জেলায় চষে বেড়াচ্ছেন। সেখানে এই সভা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে তাই আমরা বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শীঘ্রই পরবর্তী দিন জানিয়ে দেওয়া হবে। আর আমাদের শক্তি দেখানোর নতুন করে ব্যাপার নেই। কারণ আমরা অভিষেকের সভায় আমাদের শক্তি দেখিয়ে দিয়েছি।’