মহিলাকে কুরুচিকর ম্যাসেজ, অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠানোর অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা ছাত্র সভাপতিকে আটক করল পুলিশ। ছাত্র নেতার নাম তনয় তালুকদার। অভিযোগ উঠেছে, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলাকে কুরুচিকর ম্যাসেজ করতেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। মহিলার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তকে হাতে পেয়ে মারধর করেন। অন্যান্যরাও তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে বাগডোগরা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে অভিনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বেগবাগানে আলোড়ন
এই মহিলার স্বামী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূল নেতাকে আটক করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই প্রথম নয় এর আগেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একাধিক মহিলাকে এভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিন তৃণমূল নেতাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাগডোগরা থানার পুলিশ। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা যে মহিলাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন তিনি হলেন একজন বিবাহিতা। প্রথমে ওই মহিলাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। পরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই মহিলাকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করেন তৃণমূল নেতা ৷ কোনওভাবে মহিলার স্বামী বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সালিশি সভার সময় মহিলার স্বামী এবং বাকিরা ছাত্রনেতার উপরে চড়াও হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে আটক করা হয়। তবে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতারের বদলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, ছাত্র সভাপতিকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিরোধীরা দফায় দফায় থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্তকে। বিজেপি এবং এসএফআই দফায় দফায় থানার সামনে বিক্ষোভ করে। পাশাপাশি তারা অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়। এসএফআইয়ের অভিযোগ, চরিত্রহীন লোকেদের নিয়ে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও দলের একাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এরকম অভিযোগ ওঠার পরেও ব্যবস্থা যারা নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ। অবিলম্বে অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে হবে।