লক্ষ্য একুশের নির্বাচন। একের পর এক উচ্চ স্তরের বৈঠকের মধ্য দিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল। ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার তৃণমূল সভাপতি ও শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় তাঁর নেতৃত্বে হবে বিশাল মিছিল। আর ৭ ডিসেম্বর থেকে টানা জেলা সফরের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন তিনি যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। আর তার পরই ৯ ডিসেম্বর, বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার তৃণমূল ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওদিন গোপালনগরে জনসভা করবেন মমতা। ২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ আসন তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সেখানে এখন বিজেপি সাংসদ রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। বনগাঁ এবং বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের যে দুই বিধায়ক রয়েছেন তাঁরাও গেরুয়া শিবিরের। এদিকে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রেই রয়েছে মতুয়া ভোট। বিজেপি ইতিমধ্যে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে হাত বসিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মতুয়াদের বিশ্বাস, আস্থা ফের অর্জন করার চেষ্টা করছেন মমতা। ৯ ডিসেম্বর গোপালনগরের সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন সেটাই এখন দেখার।
‘বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না’— এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রচারে নামতে চলেছেন মমতা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় দিয়ে কোভিড পরিস্থিতি প্রথম জনসভা করেন মমতা। তাতে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সারা পশ্চিমবঙ্গে আমি একজন কর্মী হিসেবে আমিই এখন অবসার্ভার। তার কারণ, প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে, কে কী করছে বা না করছে, আর কার সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখছে, কে কে যোগাযোগ করছে— তার সবটার হিসেব আমি রাখি। দল আমাকে সাহায্য করছে।’ আর তার পরপরই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু। যদিও এই নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছেন নেত্রী। কে থাকল, না থাকল, তাতে গুরুত্ব না দিয়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।