শুভেন্দুর খাসতালুক থেকেই জেলা সফরের শুরু, ৭ ডিসেম্বর মমতার সভা পশ্চিম মেদিনীপুরে

শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুক্রবার। আর তার পরপরই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজনৈতিক প্রচারের রূপরেখা আঁকেন মমতা। তাঁর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদে যাওয়ার কথাও রয়েছে।

বাঁকুড়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

শুক্রবার রাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরই ৭ ডিসেম্বর থেকে টানা জেলা সফরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি সেই জেলা সফর শুরু করছেন সদ্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ–করা শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর, সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। সেই সভা সেরে তাঁর বর্ধমানে যাওয়ার কথা। সেখানে দুর্গাপুরে তিনি রাজনৈতিক জনসভা করতে পারেন।

শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুক্রবার। আর তার পরপরই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজনৈতিক প্রচারের রূপরেখা আঁকেন মমতা। তাঁর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদে যাওয়ার কথাও রয়েছে। একসময় এই প্রতিটি জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, জেলা সফরে যাওয়ার আগে ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার তৃণমূল সভাপতি ও শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘‌বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না’‌— এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রচারে নামতে চলেছেন মমতা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় দিয়ে কোভিড পরিস্থিতি প্রথম জনসভা করেন মমতা। তাতে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সারা পশ্চিমবঙ্গে আমি একজন কর্মী হিসেবে আমিই এখন অবসার্ভার। তার কারণ, প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে, কে কী করছে বা না করছে, আর কার সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখছে, কে কে যোগাযোগ করছে— তার সবটার হিসেব আমি রাখি। দল আমাকে সাহায্য করছে।’‌ আর তার পরপরই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু। যদিও এই নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছেন নেত্রী। কে থাকল, না থাকল, তাতে গুরুত্ব না দিয়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।